Site icon

৪০ পেরিয়েও অনবদ্য রোনাল্ডো! নেশন্স লিগ জেতার পরই অবসর নিয়ে মুখ খুললেন পর্তুগিজ তারকা

Soccer uefanations por esp report 415 1749433237872 1749460271871.jpg


ফের একবার উয়েফা নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পর্তুগাল। এই নিয়ে ৩বারের সংস্করণে দুবারই ইউরোপের নেশন্স লিগ জিতল ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর দল। তবে এবারের লড়াই ছিল বেশ কঠিন। কারণ ফাইনালে সামনে ছিল ফ্রান্সকে ৫ গোল দিয়ে আসা স্পেন, যারা বর্তমান ইউরো কাপ চ্যাম্পিয়ন এবং নেশন্স লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ছিল। কিন্তু ফাইনালে তাঁদেরই টাইব্রেকারে হারিয়ে সেরার শিরোপা জিতেছে রোনাল্ডো, ভিতিনহা, নুনো মেন্দেজদের পর্তুগাল।

স্পেনকে ৫-৩ গোলে টাইব্রেকারে পর্তুগালের হারানোর দিন নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ও ফলাফল ছিল ২-২। পিছিয়ে থাকা অবস্থায় রোনাল্ডো গোল করে পর্তুগালকে সমতায় ফেরান, কিন্তু ৮৮ মিনিটে চোট পেয়ে তিনি মাঠের বাইরে চলে যান। এরপর জোয়াও ক্যানসেলো, ভিতিনহা, নুনো মেন্দেজরা একপ্রকার নিজেদের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা খেলা দিয়েই পর্তুগালকে নেশন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন করেন।

২০২২ বিশ্বকাপে পর্তুগালের সেই সময়ের কোচ ফার্নান্দো স্যান্তোস গুরুত্বপূর্ণ নকআউট ম্যাচেও রোনাল্ডোকে অধিকাংশ সময় বসিয়ে রেখেছিলেন রিজার্ভ বেঞ্চে, ফলও হাতে নাতে পেয়েছিল তাঁরা। মরক্কোর কাছে হেরে গেছিল পর্তুগাল। কিন্তু রবার্তো মার্টিনেজ আসার পর থেকেই তিনি রোনাল্ডোকে প্রথম একাদশেই ব্যবহার করেছেন, আর তার ফলও হাতে নাতে পেয়েছে পর্তুগিজরা। বলতে গেলে, রোনাল্ডো নিজেও কেরিয়ারের একটা খারাপ সময় কাটিয়ে উঠেছে রবার্তো মার্টিনেজ পাশে থাকায়।

এবার নিজের কেরিয়ার নিয়েই মুখ খুললেন সিআরসেভেন। জানিয়ে দিলেন, কবে নেবেন অবসর। তিনি বলছেন, ‘তোমরা সকলেই জানো যে আমায় বয়স হয়েছে। আমি আমার সমাপ্তির দিকেই যাচ্ছি, আমি তো সবে শুরু করিনি খেলা। তাই প্রত্যেকটা মূহূর্ত আমি উপভোগ করতে চাই। যদি না আমি খুব বড় ধরণের চোটাঘাতে পড়ি, তাহলে আমি খেলা চালিয়ে যাব ’।

রোনাল্ডো এরপরই জানান, ক্লাবের হয়ে ট্রফি জেতার থেকেও দেশের হয়ে জেতা তাঁর কাছে আরও বেশি আনন্দের। তিনি বলেন, ‘আমি ক্লাবের হয়ে ফুটবল কেরিয়ারে অনেক ট্রফি জিতেছি, কিন্তু পর্তুগালের হয়ে জেতার থেকে ভালো কিছুই হয়না। আজকে সেই কারণেই আমার চোখে জল। এটা একটা মিশন শেষ হল, সেই জন্য আমি এত আনন্দে রয়েছি। আমি ওয়ার্ম আপের সময়ই একটু ব্য়থা অনুভব করছিলাম, এটা কিছুদি ধরেই চলছিল। কিন্তু জাতীয় দলের জন্য যদি আমায় নিজের পা ভেঙে ফেলতেও হয়, আমি তাহলে সেটা করতেও রাজি আছি। একটা ট্রফির জন্য আমি আমার নিজের সব উজার করে দিতে রাজি। আমি অনেক দেশে থেকেছি, অনেক দেশের ক্লাবে খেলেছি। কিন্তু সেটা যখন পর্তুগালের জন্য হয়, তার অনুভূতি অন্যরকম ’।

রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।



Source link

Exit mobile version