
মেঘালয়ে হনিমুনে গিয়েছিলেন সোনম রঘুবংশী ও রাজা রঘুবংশী। মেঘালয়ে উদ্ধার হয়েছে রাজার দেহ। এরপর সোনমকে গ্রেফতার করা হয় উত্তরপ্রদেশে। গোটা ঘটনার পরতে পরতে রহস্য। রাজাকে খুনের পেছনে সোনমের হাত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
সোনম গ্রেফতার হওয়ার পরেই মুখ খুলেছেন রাজা রঘুবংশীর মা। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, রাজা রঘুবংশীর মা উমা রাজবংশী জানিয়েছেন, সোনম ট্রিপের জন্য় টিকিট বুক করেছিল। সে মনে হয় শিলং সফরটা আরও কয়েকদিন বৃদ্ধি করতে চেয়েছিল। কারণ আমার ছেলে ওই এলাকাটি চিনত না। রাজার মা জানিয়েছেন, তারা গত বছরেও শিলংয়ে গিয়েছিলেন।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সমস্ত সোনার অলঙ্কার পরে ওই দম্পতি মেঘালয়ে গিয়েছিল। সোনম তার বাবা মায়ের বাড়ি থেকে সরাসরি এয়ারপোর্টে চলে যান। রাজা প্রায় ১০ লাখ টাকার সোনার অলঙ্কার পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তার মধ্যে ডায়মন্ডের আংটি, গলার হার, ব্রেসলেট ছিল।
মা তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেন এত টাকার জিনিসপত্র পরে যাচ্ছ? এত অলঙ্কার কেন পরছ? সেই প্রশ্নের উত্তরে রাজা বলেছিল সোনিয়া পরে যেতে বলেছে। রাজার মা জানিয়েছেন, যদি সোনম এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকে তবে তার ফাঁসি হওয়া দরকার। তিনি আরও জানিয়েছেন, সোনম যদি কিছু করে থাকে তবে সিবিআই তদন্ত হওয়া দরকার।
সেই সঙ্গেই তাঁর প্রশ্ন যদি সোনম আমার ছেলেকে ভালোই বেসে থাকে তবে কেন সে তাকে মারতে যাবে?
রাজার মা জানিয়েছেন, এই ঘটনার পেছনে যারা যারা যুক্ত রয়েছে সবার শাস্তি চাই।
প্রসঙ্গত গত ১১ মে রাজা ও সোনমের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল। পূর্ব খাসি পাহাড়ে হানিমুনে বেড়াতে গিয়েছিলেন দম্পতি। এরপর ২৩শে মে তারা নিখোঁজ হয়ে যায়। বালাজি হোমস্টে থেকে তাদের শেষবার বের হতে দেখা গিয়েছিল। সোহারিম এলাকায় একটি স্কুটারকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। সেই স্কুটার ব্যবহার করেছিল তারা। এরপর খাদ থেকে উদ্ধার কার হয় রাজার দেহ। একটা কাটারি দিয়ে তাকে সম্ভবত হত্যা করা হয়েছিল। সেটাও উদ্ধার করা হয়েছিল ওই এলাকা থেকে।
শনিবার রাতে আধিকারিকরা সোনমকে কার্যত অজ্ঞান অবস্থায় উত্তরপ্রদেশের একটি ধাবা থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে গাজিপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। এরপর সে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে।