
ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে মাওবাদীরা। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আকাশ রাও গিরপুঞ্জের। এই বিস্ফোরণে এসডিওপিও এবং টিআই-ও গুরুতর জখম হয়েছেন। বস্তারের আইজি সুন্দররাজ পি জানিয়েছেন, কোন্টা-এরাবোরা রোডে দোন্দ্রার কাছে প্রেসার আইইডি বিস্ফোরণ ঘটে। এই সব অফিসাররা দোন্দ্রায় গিয়েছিলেন। এ সময় মাও হামলার শিকার হন তাঁরা। এসডিপিও ভানুপ্রতাপ চন্দ্রকর এবং টিআই সোনাল গোয়ালকে উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসার জন্য রায়পুরে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের হেলিকপ্টারে করে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে ঘটনাস্থলে শতাধিক পুলিশ সদস্য উপস্থিত রয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সিআরপিএফের দুটি ক্যাম্পের মাঝখানে। ঘটনার খবর পেয়ে রায়পুরের এসএসপি ডঃ লাল উমেদ সিং আকাশ রাওয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান। (আরও পড়ুন: ভিড়ের চাপে লোকাল থেকে ছিটকে পড়লেন বহু,পাশের লাইনের ট্রেনের ধাক্কায় মৃত অন্তত ৪)
আরও পড়ুন: মেঘালয়ে দম্পতি নিখোঁজ কাণ্ডে বৌদি সোনমকে খুনি হিসেবে মানতে নারাজ রাজার ভাই
উল্লেখ্য, সুকমায় নকশালরা ঠিকাদারের পোকলান মেশিনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এএসপি আকাশ রাও, এসডিপিও ভানুপ্রতাপ চন্দ্রকর, টিআই সোনাল গোয়াল এবং অন্যান্য আধিকারিকরা দোন্দ্রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে যান। এই সময় মাওবাদীদের আইইডি বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে এএসপি আকাশ রাও মারা যান। এবং এসডিওপি ও টিআই গুরুতর জখম হন। আহতদের সুকমা কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের রায়পুরে পাঠানো হয়েছে। (আরও পড়ুন: কেন রাজাকে খুন করায় সোনম? মেঘালয়ে দম্পতি নিখোঁজ কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল)
আরও পড়ুন: কেরলে আদানির বন্দরে পৌঁছল বিশ্বের কন্টেইনার জাহাজ, কত বড় এই দৈত্যকার জলযান?
এর আগে সম্প্রতি ছত্তিশগড়ের বিজাপুর ন্যাশনাল পার্ক এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছিলেন ভাস্কর রাও ওরফে মাইলারাপু আদেলু। তিনি সিপিআই (মাওবাদী) সংগঠনের তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটির মাঞ্চেরিয়াল-কোমারম্ভীম (এমকেবি) বিভাগের সম্পাদক ছিলেন এবং বিশেষ জোনাল কমিটির (এসজেডসি) সদস্য ছিলেন। তাঁর মাথার দাম সম্মিলিত ভাবে ছিল ৪৫ লাখ টাকা। সেই ঘটনার একদিন আগেই বিজাপুর জাতীয় উদ্যান এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে সুধাকর ওরফে গৌতমকে খতম করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এই সুধাকর ছিলেন সিপিআই (মাওবাদী)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এর আগে গত ২১ মে নারায়ণপুর জেলার আবুজমাদ এলাকায় সিপিআই (মাওবাদী) সাধারণ সম্পাদক বাসবরাজুকে খতম করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তাঁর সঙ্গে আরও ২৫ জন মাওবাদীকে খতম করা হয়েছিল। সংগঠনের শীর্ষ নেতা বাসব রাজুকে ‘মাওবাদী আন্দোলনের মেরুদণ্ড’ বলে মনে করা হত। পরপর আঘাতে মাওবাদী সংগঠন ছন্নছাড়া বলে মনে করা হচ্ছিল। সেই সময়ই পুলিশের ওপর ভয়াবহ হামলা মাওবাদীদের।