
বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস। উল্লেখ্য, আমেরিকায় সদ্য ট্রাম্প ২.০ সরকার আসার পর থেকেই অবৈধ অভিবাসন নিয়ে তুঙ্গে তৎপরতা দেখা গিয়েছে। সদ্য সেদেশের ক্যালিফোর্নিয়া ও লস অ্যাঞ্জেলেসের একাধিক জায়গায় ট্রাম্প প্রশাসন হানা দিয়ে অবৈধ অভিবাসন ঘিরে শতাধিক গ্রেফতারি চালিয়েছে এই ইস্যুতে। এরপরই বিক্ষোভর আগুনে জ্বলে উঠেছে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস। বিক্ষোভ দমনে ট্রাম্প মোতায়েন করেছেন ন্যাশানাল গার্ড। আর এতেই প্রবলভাবে ক্ষুব্ধ ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর। তিনি সাফ হুঁশিয়ারিতে জানিয়েছেন, কোনও রকম আলোচনা ছাড়়াই লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। আর সেই কারণে ট্রাম্পের বিরোধী রাজনৈতিক দল ডেমোক্র্যাট সদস্য তথা ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসাম সাফ হুঁশিয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইনি পথে মামলা করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
গ্যাভিন নিউসম এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত থাকায়, ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর বলেছেন যে তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। ট্রাম্প লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আইসিই-বিরোধী বিক্ষোভের উপর ট্রাম্পের কঠোর ব্যবস্থার অংশ হিসেবে লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রায় ২,০০০ ন্যাশনাল গার্ড কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল।ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর ট্রাম্পকে ‘আগুন জ্বালানোর’ জন্য অভিযুক্ত করেছেন এবং দাবি করেছেন যে ট্রাম্প ‘ন্যাশনাল গার্ডকে ফেডারেলাইজ করার জন্য অবৈধভাবে কাজ করেছেন। নিউসম বলছেন, ’তিনি যে আদেশে স্বাক্ষর করেছেন তা কেবল ক্যালিফোর্নিয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। এটি তাকে যেকোনও রাজ্যে যেতে এবং একই কাজ করার অনুমতি দেবে। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করছি।’
( ২২ জুন পর্যন্ত আর ভাবনা নেই! বুধ, গুরুর যুতিতে সৌভাগ্য ফিরছে এই ৩ রাশিতে)
নিউসমের পাশাপাশি, ক্যালিফোর্নিয়ার অন্যান্য ডেমোক্র্যাটরা, যেমন কমলা হ্যারিস, লস অ্যাঞ্জেলেসে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের জন্য ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন। নিউ,জসম এক্স-এ লিখেছেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি সংকট তৈরি করেছেন এবং পরিস্থিতি উস্কে দিচ্ছেন। যদি তিনি এটি সমাধান করতে না পারেন, তাহলে আমরা করব। ট্রাম্পের আগুন জ্বালানোর জন্য খারাপ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে, ক্যালিফোর্নিয়া আপনাকে জবাবদিহি করবে।’ মার্কিন মুলুকে অঙ্গরাজ্য ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসমের আপত্তি উপেক্ষা করেই লস অ্যাঞ্জেলেসে দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন। যা মার্কিন রাজনীতিতে বেশ বিরল ঘটনা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এই ঘটনা, মার্কিন মুলুকে অঙ্গরাজ্য সরকারের ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করছে, তেমনই অনেক দিন ধরে চলা মার্কিন নিয়ম কানুন, রীতিও ভেঙে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পকে ঘিরে মার্কিন দেশে ক্রমেই বাড়ছে ক্ষোভ।