
বর্ষা আসার আগেই রাজ্যের রাস্তাঘাটগুলির বেহাল অবস্থা নিয়ে উত্তপ্ত হল বিধানসভা। শাসক ও বিরোধী সব রাজনৈতিক দলের একাধিক বিধায়ক মঙ্গলবার সভায় একযোগে রাস্তার হাল নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। যদিও রাস্তার সমস্যার অভিযোগ জানানোর জন্য আগে থেকে রাখা ড্রপবক্সকে একটি অভিযোগপত্রও জমা পড়েনি বলে স্পষ্ট জানান অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এমন অভিযোগ ওঠার পরেই অধ্যক্ষ ফের ড্রপ বক্স বসানোর নতুন নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: রাস্তার অবস্থা দেখুন, কাদার ওপর দিয়ে উদায়নকে হাঁটতে বাধ্য গ্রামের মহিলাদের
জানা যাচ্ছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকে বিধানসভায় ফের বসানো হবে অভিযোগ জমার ড্রপ বক্স। নির্দিষ্টভাবে আগামী দু’দিন বিধায়করা তাঁদের এলাকার খারাপ রাস্তার বিবরণ লিখিতভাবে ওই বাক্সে জমা দেবেন। পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা পরে সেই অভিযোগ সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানানো হয়েছে।
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অনেক বিধায়ক একসঙ্গে রাস্তার দুরবস্থার কথা বলছেন। বর্ষা এখনও ঠিকমতো শুরু হয়নি, তার আগেই বহু জায়গার রাস্তা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। তাই যাঁদের কাছে নির্দিষ্ট অভিযোগ আছে, তাঁদের আগামী দু’দিনের মধ্যে লিখে দিতে হবে ড্রপ বক্সে।
পাশাপাশি পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়ও জানান, ড্রপ বক্স সংক্রান্ত প্রক্রিয়া বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হবে। দফতরের তরফে অভিযোগগুলি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে। উল্লেখ্য, দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বৃষ্টির প্রভাব এখনও এখনও শুরু না হলেও একাধিক জেলায় ইতিমধ্যেই বহু রাস্তা বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিধায়কদের বারবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। স্থানীয়দের
অভিযোগ, গত কয়েক বছরে একাধিক এলাকায় রাস্তা সংস্কারের পরেও তা টেকেনি। প্রাথমিক বৃষ্টিতেই রাস্তার আস্তরণ উঠে গিয়েছে। কোথাও-কোথাও ছোটখাটো গর্ত পরিণত হয়েছে প্রাণঘাতী ফাঁদে। ফলে বর্ষা আসলেই ততই পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠকে রাস্তার অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকেও এ বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, ভারী যানবাহান চলাচলের ফলেই গ্রামের রাস্তা দ্রুত ভেঙে পড়ছে। এ বিষয়টি পুলিশকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেছিলেন তিনি।