
ডিজিটাল যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার চাহিদা এবং ব্যবহার অত্যন্ত বেশি। তাই সরকারি ও বেসরকারি বিশেষ সংস্থা থেকে শুরু করে প্রখ্যাত ব্যক্তিরাও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নামে পৃথক পেজ খুলে থাকে। এমনকী রাজনীতিবিদরাও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখন জড়িয়ে পড়েছেন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে। সুতরাং সাধারণ মানুষ থেকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা ওইসব পেজ ফলো করেন। যাতে বার্তা মেলে চটজলদি এবং সঠিক। কিন্তু এবার এই পথেই দেখা দিল জটিলতা। যা নিয়ে এখন সরগরম রাজ্য– রাজনীতি।
সামনেই বিধানসভার বাদল অধিবেশন শুরু হবে। হাতে আর দু’দিন আছে। এই আবহে অনুমতি ছাড়াই ফেসবুক পেজ খুলে রাজ্য বিধানসভার। আর সেখানে বিধানসভার যাবতীয় কাজকর্ম প্রকাশ করা হচ্ছে বলে খবর। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে যায় বিধানসভা জুড়ে। প্রশ্ন উঠতে থাকে, এটা কি ফেক নাকি সত্যি? পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ফেসবুক পেজ নিয়ে এখন নানা মুনির নানা কথা শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। এমন ঘটনা ঘটায় তা বাদল অধিবেশনে চর্চিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই পেজ তৈরি করার বিষয়ে আপত্তি নেই। কিন্তু কে বা কারা করল? কার অনুমতিতে করল? স্পিকারকে অন্ধকারে রেখে তৈরি করার জেরেই এখন নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: নদী ভাঙন শুরু হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনদিনের ঝটিকে উত্তরবঙ্গ সফরে সেচমন্ত্রী
বিধানসভার নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে যায়। অথচ এই বিষয়ে বিধানসভার শীর্ষ অফিসার স্তরের কেউ জানেন না। এমনকী জানেন না বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। তাই এত আলোচনা এবং বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অথচ ওই ফেসবুক পেজে বিধানসভার একের পর কার্যবিবরণী প্রকাশ করা হচ্ছে। ফেসবুকে পোস্ট দেখতেও পাচ্ছেন সকলে। অথচ কারও কোনও অনুমোদন নেই এটা তৈরির বিষয়ে। কোনও এক কর্মী এই ফেসবুক পেজ খুলেছেন বলে সূত্রের খবর।
এই ঘটনায় রাজ্য বিধানসভার গোপনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বিধানসভা সূত্রে খবর, অনুমতি ছাড়া যে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে সেই অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে এখন বিভাগীয় তদন্ত। তড়িঘড়ি সাসপেন্ড করা হয়েছে বিধানসভার ওই কর্মীকে। এই কাজের প্রেক্ষিতে আদালত পর্যন্ত বিষয়টি গড়িয়েছে। পুলিশ ওই কর্মী সম্পর্কে কোনও তথ্য দিতে নারাজ তদন্তের স্বার্থে। অনেক সরকারি দফতরেরই নিজস্ব সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থাকে কাজের স্বার্থে। বিধানসভার কিন্তু কোনও সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ছিল না। এখন এই ফেসবুক পেজ রাখা হবে নাকি মুছে ফেলা হয় সেটাই দেখার।