
ওই সাক্ষাতের সময় সাইফুজ্জামান সাংবাদিকদের কাছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা তাঁর সম্পত্তির বিবরণ তুলে ধরেন। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে আল–জাজিরার সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘আমি আসলে তাঁর ছেলের মতো।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘তিনি জানেন, আমার এখানে ব্যবসা আছে।’
গত অক্টোবরে “দ্য মিনিস্টার’স মিলিয়নস” শীর্ষক আল–জাজিরার ওই প্রামাণ্যচিত্রে বলা হয়, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের একটি প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য সাইফুজ্জামান। দেশের মুদ্রা আইন অনুযায়ী একজন নাগরিকের বাংলাদেশ থেকে বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার বিদেশে নিতে পারার সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও একটি বিশাল সম্পদের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন তিনি। তদন্তে বেরিয়ে আসে, সাইফুজ্জামান লন্ডন, দুবাই ও নিউইয়র্কে আবাসন ব্যবসায় ৫০ কোটি ডলারের বেশি ব্যয় করেছেন। কিন্তু বাংলাদেশের ট্যাক্স রিটার্নে তাঁর এসব বিদেশি সম্পদের কথা উল্লেখ করেননি।
আল–জাজিরাকে দেওয়া আগের এক বিবৃতিতে সাইফুজ্জামান বলেছিলেন, বিদেশে তাঁর সম্পত্তি কেনার জন্য ব্যবহৃত তহবিল বাংলাদেশের বাইরের বৈধ ব্যবসা থেকে এসেছে। তিনি বছরের পর বছর এসব ব্যবসার মালিক। সাবেক এই মন্ত্রী আরও দাবি করেন, তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দমননীতির শিকার।