
এক যুবকের আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ তুললেন মৃতের মা। সন্তানহারা ওই মহিলার দাবি, তাঁর পুত্রবধূই ছেলেকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছেন! এমনকী, এই ঘটনার নেপথ্যে অভিযুক্ত পুত্রবধূর বাপের বাড়ির লোকজনেরও হাত থাকতে পারে বলে মৃতের পরিবারের তরফে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, নিহত যুবকের নাম সুনীত মুখোপাধ্যায়। তিনি উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কাঁচরাপাড়া পুরসভার অন্তর্গত ২১ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ পল্লি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। সুনীতের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল স্নেহা নামে এক তরুণীর।
সুনীতের পরিবাররে দাবি, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রোজের অশান্তি লেগে থাকত। তাতে ইন্ধন জোগাতেন স্নেহার বাড়ির সদস্যরা। তাঁরা মাঝেমধ্যেই দল বেঁধে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি এসে চড়াও হতেন এবং সুনীতকে মারধর করতেন। গত মঙ্গলবার (৩ জুন, ২০২৫) রাতেও একই ঘটনা ঘটে।
ওই রাতে সুনীতের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা প্রথমে তাঁরই বাড়িতে এসে তাঁকে মারধর করেন। পরে তাঁরাই নাকি আবার স্থানীয় থানায় গিয়ে সুনীতের নামে অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বীজপুর থানার পুলিশ সুনীতকে আটক করে নিয়ে যায়। কিন্তু, কিছুক্ষণ পর তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। মৃতের পরিবারের দাবি, থানায় নাকি সুনীতকে কোনও অপরাধ না করা সত্ত্বেও তাঁর শ্বশুর ও শাশুড়ির পা ধরে ক্ষমা চাইতে হয়েছিল।
সুনীতের মা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনার পর থেকেই মনমরা হয়ে ছিলেন সুনীত। তবে, বুধবার (৪ জুন, ২০২৫) দুপুরে তিনি খাওয়াদাওয়া করেছিলেন। তারপর নিজের ঘরে শুতে গিয়েছিলেন। সন্ধেবেলা সেই ঘরেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে অনেকেই এটিকে অবসাদের জেরে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করছেন। যদিও সুনীতের মায়ের দাবি, তাঁর বউমাই ছেলেকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছেন!
এদিকে, জানা গিয়েছে বুধবার সন্ধ্যার সময়েই নাকি বাড়ি ফিরেছিলেন সুনীতের স্ত্রী স্নেহা। তিনিই নাকি প্রথম স্বামীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়েছিলেন। কিন্তু, সুনীতের দেহ আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই তিনি বেপাত্তা। বীজপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।