
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক তিনি যাননি। না যাওয়ার কারণ তুলে ধরেছিলেন তখন। সেটা নিয়ে বিস্তর চর্চা হলেও বিদেশের মাটিতে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দেওয়ার কাজে তিনি এতটাই সফল হয়েছেন যে সর্বদলীয় বৈঠকে না থাকা নিয়ে তৈরি ইস্যু ধামাচাপা পড়ে যায়। তবে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে বিশেষ নৈশভোজে যোগ দিচ্ছেন তিনি। আজ, মঙ্গলবার নয়াদিল্লি যাচ্ছেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদকে নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই আমন্ত্রণ পেয়ে আজ রাজধানী যাচ্ছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে নৈশভোজে অভিষেক ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং সন্ত্রাসবাদ সমূলে উপড়ে ফেলতে ভারতের পদক্ষেপের কথা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে এই সাতটি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিশ্বের নানা দেশে গিয়েছিলেন। আজ সন্ধ্যায় প্রতিনিধি দলগুলির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকও করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরবেন অভিষেক বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: একাধিক পদক্ষেপ করে নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের, ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক
সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া–সহ একের পর এর দেশে গিয়েছিলেন অভিষেক। কলকাতায় ফেরেন গত মঙ্গলবার মাঝরাতে। এই প্রতিনিধিদল বিশ্বের দরবারে জোরদার সওয়াল করলেও লাইমলাইটে উঠে আসেন তিনজন সাংসদ। যাঁদের বক্তব্যে ঝড় উঠে যায় বিদেশের মাটিতে। তার মধ্যে একজন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে যোগ দেওয়া নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে। সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারতের ভূমিকার কথা বিদেশের মাটিতে তুলে ধরেছেন অভিষেক। যা নিয়ে অত্যন্ত সফল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ। প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে পাঁচ দেশে সফরের কথা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরবেন অভিষেক।
তাছাড়া বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ইন্ডিয়া জোটের বেশ কয়েকজন নেতা–নেত্রী সংসদে ‘বিশেষ অধিবেশন’ করার দাবি জানিয়েছিলেন। যদিও তাতে এখনও সিলমোহর পড়েনি। তার মধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর ডাকা নৈশভোজে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ দেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সিঙ্গাপুরে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে বিরোধীদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমার রাজনৈতিক স্বার্থ জাতীয় স্বার্থের থেকে বড় নয়। শাসকদলের সঙ্গে আমার মতপার্থক্য থাকতেই পারে। তাদের সঙ্গে প্রাণপণ লড়াই করব। কিন্তু যখন আমার দেশের নিরাপত্তার বিষয় সামনে আসে, তখন দেশের স্বার্থে যা করা দরকার, সেটাই করব।’