Site icon

‘দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ’? ঘাসফুলের ময়দান ছেড়ে পদ্মবনে সেঁধোলেন মালদার ছাত্র-যুবরা!

Bjp flgss 1749460025373 1749460044482.jpg


বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা ভোট। তার আগে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দলই নিজের-নিজের ভিত পোক্ত করতে মরিয়া। মোদী-শাহরা ইতিমধ্যেই সফর শুরু করে দিয়েছেন। দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছুটে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো স্বয়ং। অন্যান্য দলও তাদের সাধ্য মতো জনমত নিজেদের পক্ষ টানার চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গের মালদা জেলা থেকে সামনে এল দলবদলের ছবি।

সংবাদমাধ্যমে উঠে আসা তথ্য অনুসারে, মালদার বৈষ্ণবনগরে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র ও যুব সংগঠন ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালেন বেশ কয়েকজন নেতানেত্রী। তাঁদের পিছু পিছু ঘর বদলালেন প্রায় শতাধিক কর্মীও। এই উপলক্ষে বিজেপির তরফে একটি যোগদান সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থানীয় নেতানেত্রী – যথা – বিশ্বজিৎ রায়, উজ্জ্বল দত্ত, তারক ঘোষ, শ্যামলী রজক, বিধান মণ্ডল প্রমুখ।

দাবি করা হচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতির ফাঁসে নাকি হাঁসফাঁস দশা হয়েছিল দলবদলুদের। সেই কারণেই ঘাসফুল ছেড়ে হাতে পদ্ম তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমে বিজেপি নেতা তারক ঘোষ, অমর ঘোষরা বলেন, ‘(বিজেপিতে) যোগদানকারীরা তৃণমূলে থেকে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তৃণমূল মানেই দুর্নীতি। যোগদানকারী নেতা ও কর্মীরা এসব মেনে নিতে না পেরেই আজ বিজেপিতে যোগদান করলেন।’

বিজেপিতে আসা এক কর্মীকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়েছে, ‘আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদে ছিলাম। সেটা ছাড়ার একটাই কারণ – তা হল – যেভাবে তৃণমূলের দুর্নীতির জন্য শিক্ষকদের চাকরি চলে গেল, ভুলতে পারব না। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে আমরা (বিজেপিতে) এসেছি।’

প্রসঙ্গত, রাজ্যে পরপর তৃতীয় দফায় সরকার গড়লেও মালদায় এখনও একচ্ছত্রভাবে শিকড় ছড়াতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকী, গত লোকসভা নির্বাচনেও মালদা জেলার দু’টি আসনই হাতছাড়া হয়েছে তাদের। মালদা উত্তরে বিজেপি এবং মালদা দক্ষিণে কংগ্রেস জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ক্রমশ এগিয়ে আসা বিধানসভা নির্বাচনে এই দলবদলের কী প্রভাব পড়ে, এখন সেটাই দেখার।



Source link

Exit mobile version