
সংসদের বাদল অধিবেশনের আগে দিল্লি সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব ঠিক থাকলে আগামী ৯ জুন ২ দিনের দিল্লি সফরে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাক্ষাৎপ্রার্থী হতে পারেন বলে সূত্রের খবর। তেমন হলে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে ফের একবার কেন্দ্রের কাছে সরব হতে পারেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ৯ জুন সকালে দিল্লি যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১ জুন ফেরার কথা তাঁর। দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে রাজ্যের দাবি তুলে ধরতে পারেন তিনি। আলোচনা হতে পারে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে।
মমতার দিল্লি সফরকে যুক্তরাষ্ট্রীয় সৌজন্য বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে নীতি আয়োগের বৈঠক ছিল। সেখানে কেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যাননি? কেন তিনি কোনও প্রতিনিধি পাঠাননি। সেখানে তো ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাবের মতো বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে গত ১১ বছরে মোদীজির সরকার পশ্চিমবঙ্গকে যে ৮ লক্ষ কোটি টাকার বেশি তহবিল দিয়েছেন তা কী ভাব খরচ হয়েছে সেই হিসাব নিয়ে যেন মুখ্যমন্ত্রী দিল্লি যান। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার ওনার ভাইদের লুঠ করার জন্য টাকা পাঠায় না। কেন্দ্র টাকা পাঠায় সাধারণ মানুষের জন্য।
সিপিএমের প্রশ্ন, কেন অন্যান্য মুখ্যমন্ত্রী ও আধিকারিকদের সামনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন না মুখ্যমন্ত্রী? কেন কেন্দ্রের ডাকা বৈঠকগুলি তিনি এড়িয়ে যান? কেন তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুধুমাত্র একান্ত বৈঠক করেন? প্রধানমন্ত্রীকে ওনার কী এমন বলার আছে যা অন্যের সামনে বলা যায় না?