
নিজেদের মাটিতে দূর্দান্ত ফর্মে থাকা বার্সেলোনাকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে রীতিমত চমকে দিয়েছিল ইন্টার মিলান। নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে দলকে খাদের কিনারা থেকে বাচিয়ে এনেছিলেন ফ্রান্সেস্কো আচেরবি। এক্সট্রা টাইমে বার্সেলোনাকে হারিয়ে নিশ্চিত চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল নিশ্চিত করে ইন্টার। কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্নকে হারিয়ে প্রেস কনফারেন্সে কোচ সিমোন ইনজাঘি বড় মুখ করে বলছিলেন, ট্রেবল নয় একেবারে চার শিরোপার দিকে নজর রাখছেন তিনি। তাঁর অহংকারই যেন কাল হয়েছে দলের জন্য।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ইতালিয়ান সিরি আ ছিল ইন্টারের হাতের মুঠোয়। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাপোলি থেকে ইনজাঘির দল এগিয়ে ছিল আট পয়েন্টের ব্যবধানে। সেখান থেকে টানা তিন ম্যাচে আট পয়েন্ট হারিয়ে নাপোলির কাছাকাছি চলে আসে নেরাজ্জুরিরা। এরপরেও লিগে আশা ছিল। কিন্তু একের পর এক পয়েন্ট হারানোর মিছিলে নেমে সেই আশা পরিণত হয় দূরাশায়।
এর মধ্যেই আঘাত হানে কোপা ইতালিয়ার সেমি ফাইনাল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানের বিপক্ষে প্রথম লেগ শেষ হয়েছিল ১-১ গোলে। পরের লেগে যেকোনো ব্যবধানে জয় উৎরে নিয়ে যেতে পারতো ইন্টারকে। কিন্তু ইতালিয়ান সুপার কাপের মতো সেমি ফাইনালে এসে এসি মিলানের কাছে রীতিমত পর্যদুস্ত হলো ইন্টার। ৩-০ গোলের ব্যবধানে হেরে ছিটকে গেল কোপা ইতালিয়ার লড়াই থেকে। তখনও লিগ আর চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বপ্ন বেঁচে ছিল বৈকি। কিন্তু সেখানেও নিজেদের দোষে সবটা হারিয়েছে ইন্টার।