
সোমবার সকালেই শোনা যায় এমন একটি খবর, যা শুনে দুঃখের ছায়া নামে ইন্ডাস্ট্রি জগতে। মুম্বাইয়ের মাড এলাকার বাসিন্দা ৭৫ বছর বয়সী বিখ্যাত পরিচালক পার্থ ঘোষের আচমকা মৃত্যুতে শোকোস্তব্ধ গোটা বিনোদন জগত। পার্থবাবুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে পরিচালকের মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
সমাজ মাধ্যমের পাতায় একটি পোষ্টের মাধ্যমে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত জানান, সোমবার সকালে আচমকা শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল পরিচালকের। বাড়ির বাগানে হাটতে হাঁটতে হঠাৎ করে বুকে অস্বস্তি শুরু হয়, পরে যা বাড়তে থাকে। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি।
আরও পড়ুন: ১০ মাসের সম্পর্ক শেষ, রঘু ডাকাতের শ্যুটিং শেষে কাকে বিদায় জানালেন দেব?
আরও পড়ুন: পর্দার মেয়ের সঙ্গে ছবি পোস্ট আরাত্রিকার, ‘লালপরী’কে ভালোবাসা জানালেন নেটিজেনরা
সোশ্যাল মিডিয়ায় পার্থবাবুর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘দুঃখ প্রকাশের কোনও ভাষা নেই। একজন অত্যান্ত প্রতিভাবান মানুষকে হারালাম আমরা। সিনেমার দুনিয়ায় তুমি যে যাদু করেছ তা কোনদিন ভোলা যাবে না। তোমার আত্মার শান্তি কামনা করি।’
কিছুদিন আগেই নিজের মাকে হারিয়েছেন ঋতুপর্ণা। পার্থবাবুর মৃত্যুতে তাই বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে মায়ের চলে যাওয়ার কথা। পার্থবাবুর মৃত্যুর পর আনন্দবাজার ডট কম এর তরফ থেকে ঋতুপর্ণা সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বাবার খুব পছন্দের মানুষ ছিলেন পার্থদা। সকালে বৌদির সঙ্গে কথা হলো। খুব কান্নাকাটি করছিলেন। ওদের কোনও সন্তান নেই। ভীষন খারাপ লাগছে।’
আরও পড়ুন: অরিন্দমের ছবিতে বড় চমক! অনিল বিশ্বাসের চরিত্রে নাকি অভিনয় করতে চলেছেন কুণাল ঘোষ
আরও পড়ুন: ‘রোজ একটা করে মিষ্টি…’, সিরিয়াল নয়, এবার বাস্তব প্রেম কাহিনীর গল্প বললেন লীনা
প্রসঙ্গত, ৯০ দশকে একের পর এক দুর্দান্ত ছবি উপহার দিয়েছিলেন পার্থবাবু। মনীষা কৈরালা এবং নানা পাটেকর ‘অগ্নিসাক্ষী’ মন জয় করে নিয়েছিল সকলের। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের প্রথম হিন্দি ছবি ‘তিসরা কৌন’, সিনেমার পরিচালকও ছিলেন পার্থবাবু।
মিঠুন চক্রবর্তীর ‘দালাল’ হোক অথবা নানা পাটেকারের ‘গুলাম ই মুস্তফা’, বড় পর্দায় বারবার ম্যাজিক করেছেন পার্থ ঘোষ। খুব সম্প্রতি মাধুরী দীক্ষিতের ‘হান্ড্রেড ডেজ’ এবং মনীষা কৈরালার ‘অগ্নিসাক্ষী’ ছবির দ্বিতীয় পর্বের কাজ শুরু করার কথা ছিল কিন্তু সবকিছু থমকে গেল আচমকা।