
এই বছরের এপ্রিল মাসে গৌরী খানের মুম্বই রেস্তোরাঁ টোরিতে গিয়ে বেশ কিছু কন্টেন্ট ক্রিয়েটর দাবি করেন যে, তাদের তাঁরা আসল পনির দিচ্ছে না, রবং তাতে আয়োডিন রয়েছে, আসলে কটেজ চিজ পরিবেশন করা হচ্ছে। আর তা নিয়ে তখন তা বিতর্কও শুরু হয়। রেস্তোরাঁটি তখন বন্ধ হয়ে যাবে এই গুঞ্জনও তৈরি হয়। স্ক্রিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রেস্তোরাঁর প্রধান শেফ স্টেফান গ্যাডিট শেয়ার করেছেন যে বিতর্কটি ব্যবসার উপর বিপরীত প্রভাব ফেলেছে, কারণ এই বিতর্কের পর তাঁদের ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে।
হেড কুক যা বলেন
কথোপকথনের সময়, হেড কুক বলেন, ‘আমরা যখন ভিত্তিহীন কিছুর দিকে আঙুল তুলি তখন এর প্রভাব পড়ে। আমরা যে মান, উপকরণ, যা কিছু সরবরাহ করি তা সবই উন্নতমানের, আমাদের চিন্তা করার কিছু ছিল না। আমরা বিবৃতিটা জারি করেছি যাতে লোকেরা জানতে পারে কী ঘটছে এবং কীভাবে কাজ করা হচ্ছে। খাদ্য রসায়ন এবং খাদ্য বিজ্ঞান নিয়ে অনেক কিছু করতে হয়, চার বছর সময় লেগে গিয়েছে এই জায়গায় আসতে। কেবল কিছুর উপর কিছু ঢেলে দিলেই হবে না। আমাকে ভুল বুঝবেন না। তিনি বিশুদ্ধ উদ্দেশ্য নিয়ে এটা করেছিলেন, কেবল পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন।’
এই বিতর্ক রেস্তোরাঁর উপর আদৌ প্রভাব ফেলেছে কিনা তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের ব্যবসা বৃদ্ধি করেছে এবং আমাদের ইনস্টাগ্রামে ২০ থেকে ৩০ জন ফলোয়ার বেড়ে গিয়েছে। তাই আমি বলব যে এতে আসলে আমাদের ভালোই হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সঙ্গে নেই মা, অহনাকে ননদই দিল সাধ! মজার খেলায় জানা গেল ছেলে হবে না মেয়ে?
ইউটিউবার সার্থক সচদেব পরে সেই ভিডিয়োটি সরিয়ে ফেলেন যেখানে তিনি দাবি করেছিলেন যে, রেস্তোরাঁয় ‘নকল পনির’ ব্যবহার করা হয়েছিল। টোরির মুছে ফেলা ভিডিয়োটির প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন মন্তব্যে। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আয়োডিন পরীক্ষায় পনিরের সত্যতা নয়, বরং স্টার্চের উপস্থিতি প্রতিফলিত হয়। যেহেতু খাবারটিতে সয়া-ভিত্তিক উপাদান রয়েছে, তাই এটাই যে এই ফলাফলই আসবে সেটাই স্বাভাবিক। আমরা আমাদের পনিরের বিশুদ্ধতা এবং টোরিতে আমাদের উপাদানগুলির ভালো রাখার পক্ষে।’
গৌরী খানের রেস্তোরাঁ, টোরি, গত বছর ভ্যালেন্টাইন্স ডেতে খোলা হয়েছিল। সুজান খান, মাহীপ কাপুর, ভাবনা পান্ডে, নীলম কোঠারি এবং সীমা সাজদেহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।