গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের জেরে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। এরপর বাংলাদেশ ছেড়ে শেখ হাসিনা আশ্রয় নেন ভারতে। বাংলাদেশে আসে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর গঙ্গা, পদ্মা দিয়ে বয়ে গিয়েছে বহু জলরাশি। এবার ভারতে সফর ঘিরে এক ট্রাভেল অ্যাডভাইসারি জারি করেছে ঢাকা। করোনার উদ্বেগের আবহে, ঢাকা জানিয়েছে, ভারত সহ বেশ কয়েকটি দেশে খুব প্রয়োজন ছাড়া যেন সফর না করেন বাংলাদেশের বাসিন্দারা।
বাংলাদেশে সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদের স্বাক্ষরিত এক নির্দেশপত্র প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে বাংলাদেশের বাসিন্দাদের সতর্ক করে বলা হয়েছে, পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের নতুন সাব ভেরিয়েন্ট , বিশেষ করে অমিক্রন এলএফ. ৭, এক্সএফজি, জেএন-১ এবং এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। জানানো হয়েছে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সফরকারীদের ঘিরে বাংলাদেশের সকল স্থল, নৌ, বিমানবন্দরের আইএইচআর ডেস্কে নজরদারি জোরদার করার নির্দেশের কথা। পাশাপাশি বলা হয়েছে, ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের সরকারের তৎপরতার কথা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে সদ্য বৃহস্পতিবার একজনের মৃত্যু হয়েছে করোনার জেরে। সেভাবে এই করোনার প্রকোপ আশঙ্কাজনক না হলেও, তা ক্রমেই বাংলাদেশে থাবা বসাচ্ছে। এক্ষেত্রে করোনার নতুন ধরন, এক্সএফজি-র কথা উঠে আসছে। এর পাশাপাশি এক্সএফসি ধরনটিরও হদিশ মিলেছে।
( জুনেই রয়েছে বুধাদিত্য রাজযোগ! পকেট উপচে পড়ার পালা বহু রাশির, লাকি কারা?)
( আর অল্প সময়ের অপেক্ষা! ১২ জুন থেকে সিংহ সহ বহু রাশির কপালে বাম্পার লাভ, লাকি কারা?)
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত ভারত ও অন্যান্য আক্রান্ত দেশসমূহে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে বাসিন্দাদের। এছাড়াও বাংলাদেশের দেশের বিভিন্ন স্থল,নৌ, বিমান বন্দর সমূহে আইএইচআর (IHR-2005) স্বাস্থ্য ডেস্ক সমূহে সতর্ক থাকা, হেলথ স্ক্রিনিং এবং সার্ভেল্যান্স জোরদার করার কথা। এছাড়াও বলা হয়েছে, সেদেশে ঢোকার মুখে পয়েন্টস অব এন্ট্রি সমূহে থার্মাল স্কান্যার/ ডিজিটাল হেন্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে নন টাচ টেকনিকে তাপমাত্রা নির্ণয় করতে হবে। চিকিৎসা কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস এবং রোগ প্রতিরোধী পোশাক মজুত রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়াও মাস্ক ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। অসুস্থতার লক্ষণ দেখলে নিকটস্থ হাসপাতলে ভর্তির কথা বলা হয়েছে।