Site icon

সীমান্ত পার হতে গিয়ে ধরা পড়েছিল বাংলাদেশি নিউটন,জামিন করিয়েছিল TMC নেতা দেবাশিস

Das 1749362787759 1749444337911.jpg


কাকদ্বীপের ভোটার নিউটন দাস যে আসলে বাংলাদেশি নাগরিক তা আলবাৎ জানত তৃণমূল। বিরোধী দলের কোনও নেতা নন, একথা বলছেন এক তৃণমূল নেতাই। কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্যনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলি সদস্য বিপ্লব দাসের দাবি, অবৈধভাবে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে যেতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন নিউটন। তখন তাঁকে বনগাঁ সংশোধনাগারে গিয়ে জামিন করান সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার TMCP সভাপতি দেবাশিস দাস। যে দেবাশিস দাস রবিবার বলেছিলেন, নিউটন যে বাংলাদেশি তা জানা ছিল না তাঁর।

বিল্পববাবু বলেন, ২০২২ সালে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন নিউটন। সেই সময় তাঁকে আটক করে বিএসএফ। এর পর তাঁকে তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। নিউটনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছিল বাংলাদেশি পাসপোর্ট। সঙ্গে ছিল ভারতীয় আধার ও ভোটার কার্ড। এর পর তিন মাস জেলবন্দি ছিলেন নিউটন। তখন তাঁকে মুক্ত করতে একাধিকবার কাকদ্বীপ থেকে বনগাঁ গিয়েছিলেন দেবাশিস দাস। এমনকী নিউটন জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পর জেলের সামনে দাঁড়িয়ে ছবিও তোলেন তাঁরা। সেই ছবি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে।

যদিও রবিবার দেবাশিসবাবু দাবি করেছিলেন, নিউটন ও তিনি একসঙ্গে পড়াশুনো করেছেন। সেই সূত্রে তাঁদের পরিচয়। বন্ধুর জন্মদিনে কেক কাটার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। নিউটন যে বাংলাদেশি তা তাঁর জানা ছিল না। তবে ছবি ও তৃণমূল নেতার দাবিতে স্পষ্ট, দেবাশিস যে বাংলাদেশি তা বিলক্ষণ জানতেন তিনি।

বিপ্লববাবু আরও জানিয়েছেন, নিউটনের সঙ্গে পার্টনারশিপে রেস্তোরাঁর ব্যবসা ছিল দেবাশিসের। হরিপদ দাস নামে আরও এক ব্যক্তির বিনিয়োগ ছিল সেই ব্যবসায়। কিছুদিন পর রেস্তোরাঁ বন্ধ করে হরিপদবাবুর আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছে নিউটন।

দেবাশিসের দাবি, সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রমাণ থাকলে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করুক।



Source link

Exit mobile version